বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলা নিয়ে রাজশাহী বিভাগের কার্যক্রম চলমান ছিল। রাজশাহী বিভাগের সদর দপ্তর এর অবস্থান ছিলো বিভাগের সর্ব দক্ষিণে যারফলে উত্তরাঞ্চলের ৮টি জেলায় সার্বিক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন দুরূহ হয়।ফলে উক্ত উত্তরাঞ্চলের জেলা সমূহের সার্বিক উন্নয়নের বিষয়টি অনুধাবন করে রংপুর প্রশাসনিক বিভাগ স্থাপন করা হয়।
২৫ জানুয়ারী ২০১০ইং তারিখে অনুষ্ঠিত নিকার সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজশাহী বিভাগকে বিভক্ত করে গত ৯মার্চ ২০১০ইং তারিখে বৃহত্তর রংপুর দিনাজপুর অঞ্চলের ৮টি জেলা (রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী , গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাও, কুড়িগ্রাম ও পঞ্চগড় ) নিয়ে রংপুর বিভাগ সৃজন সংক্রান্ত সরকারী প্রজ্ঞাপন জারী হয়।
বিভাগীয় প্রশাসন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সে লক্ষ্যে ইভটিজিং প্রতিরোধসহ বিভিন্ন অপরাধসমূহ প্রতিরোধে মোবাইল কোর্টসমূহ ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। একইসঙ্গে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ দমন ও ১৯৭১ এর মানবতাবিরোধী এবং যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার কার্যক্রমে বিভাগীয় প্রশাসন প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাছাড়া জনগণের দোরগড়ায় ডিজিটাইজেশন কর্মসূচীর মাধ্যমে ই- সেবাসমূহ পৌছে দেয়া অন্যতম প্রাধিকার কর্মসূচী।
মোট ১৬১৮৫.০১ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট এবং প্রায় ১৫৭৮৭৭৫৭ লোকসংখ্যা নিয়ে রংপুর বিভাগ গঠিত। মোট সংসদীয় নির্বাচনী এলাকা ৩৩ টি, উপজেলার সংখ্যা ৫৮ টি, ইউনিয়নের সংখ্যা ৫৩৬ টি, বিভাগের শিক্ষার হার :৪৭.০২%। গত একযুগ দেশের দারিদ্র নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল মঙ্গাপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত দেশের উত্তরাঞ্চলের এ জনপদ। ক্রমানয়ে দৃশ্যপট পাল্টে দেয়ার লক্ষ্যে রংপুর বিভাগীয় প্রশাসন আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস